মায়ানমারমায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা হিন্দু শরণার্থীদের বিস্ফোরক বয়ান - Barak Bangla News

Breaking

Sep 29, 2017

মায়ানমারমায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা হিন্দু শরণার্থীদের বিস্ফোরক বয়ান

  নিজস্ব প্রতিবেদন :: ঢাকা:
             মায়ানমার য়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে অত্যাচারিত হয়ে পালিয়ে আসা কয়েকজন হিন্দু নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে নিউ এজ নামক বহুল প্রচারিত বাংলাদেশি একটি গণমাধ্যম। তাতে উঠে এসেছে রাখাইনের হিন্দুদের ওপর নেমে আসা নির্মম অত্যাচারের কারণ।রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় মাউংডাউ জেলার খা মাউং শেইক নামে একটি গ্রামের স্বামী বা বাবা হারিয়েছেন এমন কমপক্ষে আটজন হিন্দু নারীর সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনী হত্যা করেছে। এ হত্যার কারণ জানিয়েছেন সে নারীরা। তারা বলছেন, সেখানকার রোহিঙ্গাদের হত্যা করতে হিন্দুদের অংশগ্রহণ চেয়েছিল সেনাবাহিনী। কিন্তু হিন্দুরা রোহিঙ্গা হত্যায় রাজি না হওয়ায় তাদেরকেই হত্যা করে মায়ানমারের সেনাবাহিনী।যে হিন্দু নারীরা এ বিষয়টি জানিয়েছেন, তারা হলেন, রিকা বালা (২৭), গঙ্গা বালা (২০), মিনো বালা (২২), জোসনা বালা (২৫), আনিকা বালা (১৫), সসিল বালা (২০) ও স্বরস্বতী রাজকুমারী (১৮)। তারা সবাই সেই একই গ্রামের বাসিন্দা।তারা সবাই বস্ত্রহারা হয়ে বর্তমানে কক্সবাজারের কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নারী রিকা বালা অশ্রুতপূর্ব নয়নে বলেন, ‘আমাদের ওখানে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।কিন্তু ময়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা আমাদের স্বামী ও বাবাদের হত্যা করেছে কারণ আমরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যাযজ্ঞে অংশ নেইনি।’আনিকা বালা নামে ১৫ বছর বয়সী এক বিধবা বলেন, ‘আমি ছয় মাসের গর্ভবতী। মায়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধরা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে মুসলমানদের হত্যায় অংশগ্রহণ না করায়। আমি সব কিছু হারিয়েছি। আমার বাবা এবং মা আগেই মারা গিয়েছেন। ’তিনি বলেন, তারা মায়ানমার বাহিনীর তাণ্ডবের সময় মুসলমানদের সঙ্গে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এসময় শুধু পরিধানের বস্ত্র ছাড়া অন্য কিছুই আনতে পারেননি তারা।অন্য একজন নারীও একই কথা বলেন। তার নাম স্বরস্বতী রাজকুমারী। স্বরস্বতীর ভাষ্য, ‘বৌদ্ধ সম্প্রদায় ও মিয়ানমারের সেনারা তাদের রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যার কাজে অংশ নিতে বলে। কিন্তু আমার বাবা সেই কাজে অংশ নিতে চাননি। এরপর বৌদ্ধরা ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আমার বাবাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে খুন করে। আমার মা এ সময় বাবাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তারা মাকেও হত্যা করে। ’বর্তমানে তাদের আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে। রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ নূর বলেন, তারা বর্তমানে মুসলমানদের সঙ্গেই থাকছেন।                সূত্র- নিউ এজ,

No comments: