মাদ্রাসা বোর্ডের জানাযা : আতাউর বাহিনীর মাদ্রাসা দরদ হিমঘরে কেন? - Barak Bangla News

Breaking

Jul 6, 2017

মাদ্রাসা বোর্ডের জানাযা : আতাউর বাহিনীর মাদ্রাসা দরদ হিমঘরে কেন?


গত ১লা জুলাই আসাম সরকারের প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়ূক্ত সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত সরকারী নির্দেশনার মাধ্যমে রাজ্যের প্রায় সহস্রাধিক মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মাদ্রাসা শিক্ষা সঞ্চালকালয়কে মাধ্যমিক শিক্ষা সঞ্চালকালয়ের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে । বিগত কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রীর এসম্পর্কিত ঘোষণার পর আমসা, আমটিয়ার মত দুএকটি সংগঠন দায়িত্ব আদায়ের স্বার্থে একবার হিমন্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও মন্ত্রীর কার্যালয়ে চা, মিষ্টি খাওয়ার সুযোগ ছাড়া কোন ধরণের উল্লেখ যোগ্য ফলাফল পাওয়া যায় নি।

                   এদিকে আর এক মাদ্রাসা দরদী বাহিনী, যাদের মধ্যে কাটিগড়ার প্রাক্তন বিধায়ক মওলানা আতাউর রহমান মাঝারভূঞা, আছিমিয়া টাইটেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মওলানা আবু মুহাম্মদ ছুফিয়ান ও তাদের ডুগডুগিরা বিশেষ উল্লেখ যোগ্য । সম্মানিত পাঠকবর্গ মাফ করবেন। ডুগডুগির চেয়ে কোন শালীন উদাহরণ যোগাড় করতে পারলাম না। কারণ আতাউর ও ছুফিয়ান সহ তাদের হাতে বাজানো এসব ডুগডুগিরাই আজ মাদ্রাসা শিক্ষা ধংসের মূল ।

                  বার বার মনে পড়ে  বদরপুরে আল-জামীয়ার প্রেক্ষাগৃহে মাদ্রাসায় নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত জনসভায় আতাউরের সেই বক্তব্য। মাদ্রাসা দরদ যেন উতলে উঠেছিল!  মাদ্রাসা বাচানোর অভিনয়ের খাতিরে আমীরে শরীয়তের উপস্থিতিতে সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতককা করতেও পিছপা হননি রাজনীতিতে লাতি খাওয়া এই ধর্ম ব্যবসায়ী । ........ কিন্তু আক্ষেপের বিষয় আজ মাদ্রাসা বোর্ডের দাফন হয়ে গেলেও নিরব আতাউর বাহিনী । এখন সরকারের এসব সাম্প্রদায়ীক সিদ্ধান্তে আতাউরের কাছে মাদ্রাসার সংখ্যালঘু স্টেটাস নষ্ট হয় না । কারণ এসব বিষয়ের সঙ্গে নিজের অযোগ্য জামাতার নিযুক্তি বা চাকুরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। সুতরাং এসব অনর্থক বিষয়ে সময় নষ্ট বা আদালতের দারস্ত হয়ে অর্থ ব্যয় করার পরিবর্তে নদওয়ার বাজারে নিজের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা আতাউরের জন্য অধিক মুনাফা দায়ক। তাইতো এখন নিজের কলঙ্কিত ডুগডুগি নিয়ে হাজির হচ্ছেন মুলক্কিন /মুফছ্ছিরীনদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে । নিশ্চয়ই এটা একটি ভালো পদক্ষেপ কিন্তু প্রশিক্ষকদের দিকে থাকালে সহজেই অনুমান করা যায় যে এইসব ওয়ার্কসোপ পুঁজিবাদী সংস্থাগুলির ব্র্যান্ড উন্মোচনের নামান্তর। আর আতাউর সাহেবের মত ব্যক্তিকে দিয়ে উপত্যকার দক্ষ ও পরহেজগার মওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরীর (র:) উত্তরসুরি মুলক্কীন / মুফাছ্ছীরিনদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া ক্বিয়ামতের নিদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়।
                    এদিকে আতাউরের আর এক সেনানী সুফিয়ান সাহেব, উনি তো সংলাপের দুনিয়ায় নোবেল পাওয়ার যোগ্য ।  ......'যতক্ষণ শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকবে ততক্ষণে মাদ্রাসা শিক্ষাকে ধংস হতে দেব না'-- আমার মনে হয় সুফিয়ান সাহেবের সংলাপটি এরূপ হওয়ার কথা ছিল, ' যতক্ষণ পর্যন্ত মাদ্রাসায় আমার চামচা/আত্মীয়দের চাকুরি হবে না আমি আদালতে মামলা করতে থাকবো'।
                   এদের যদি সত্যি কারের মাদ্রাসা দরদ ছিল তাহলে মাদ্রাসা শিক্ষার এ সংকট পূর্ণ মূহুর্তে এরা চুপ কেন? উচ্চ আদালতে মামলা করে হাজারের সংখ্যায় মাদ্রাসা শিক্ষিত প্রার্থীদের বঞ্চিত করলেও আজ নিরব কেন? নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া মাদ্রাসা বোর্ড ধংস হয়ে গেলেও আদালতের দ্বারস্থ নয় কেন?
                    সর্বোপরি আদালতে মামলার পাহাড় জমিয়ে আতাউর, সুফিয়ান ও তাদের অনুসারীরা আসামের মাদ্রাসা শিক্ষার যে ক্ষতি করেছেন তা কোন দিনও পূরণ হওয়ার নয়। এবং এ রাজ্যের মুসলমান তাদেরকে কোন দিন ক্ষমা করবে না।

সুফিয়ান চৌধুরী