সেলফির আগ্রাসন, হজ্জ্ব, উমরাহেও পর্যটকসুলভ আচরণ!!! - Barak Bangla News

Breaking

Aug 2, 2017

সেলফির আগ্রাসন, হজ্জ্ব, উমরাহেও পর্যটকসুলভ আচরণ!!!


মোবাইল আজ আর শুধু কথা বলার যন্ত্র নয়। মোবাইল রীতিমতো এক সম্প্রচার মাধ্যম। এই মোবাইলই মানুষের ধ্যান-জ্ঞান ও মগ্নতাকে পদে পদে নষ্ট করছে। আর সেলফি তো আজ মনোযোগ, ধ্যান ও ফিকির বিরোধী এক বৈশ্বিক আগ্রাসন । কিন্তু এ  ঘাতক প্রভাব যখন হজ্জ্ব ও উমরাহে গিয়ে বিশ্ব মুসলিমদের প্রানকেন্দ্র পবিত্র মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী বা নবীজির রওজায়ে আত্হারের সামনে দেখা যায় তখন মনের মধ্যে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আফসোস হয় এই সব ভাগ্যবানদের প্রতি যাদেরকে আল্লাহ তা'লা মসজিদে হারাম, নববী ও গুম্বুজে খাজরা স্বচক্ষে দেখার সুযোগ দিয়েছেন তারা আজ এই পবিত্র ভূমিতে আল্লাহ রহমতের প্রত্যাশী না হয়ে সেলফিতে পাওয়া বেহুদা লাইক কমেন্ট ও শেয়ার প্রত্যাশী হল? ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে অনুমান করা যায় যে,  অন্যের নামাজে/এবাদতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন দূরের কথা, তার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের এর চেয়ে বড় নজির আর কী হতে পারে? জান্নাতুল বাকী, রসুল (সা.)-এর বিবি, কন্যাসহ অসংখ্য সাহাবায়ে কেরামের কবরস্থান যেখানে গিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মনটা সর্বোচ্চ নরম হয়ে যায়, সেখানেও চলেছে একই তৎপরতা। 
                                হজের মৌসুমে 'লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' ধ্বনিতে মুখরিত থাকে পুণ্যভূমি মক্কা। কিন্তু হজের মতো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যেও কমেনি সেলফি জ্বরে আক্রান্তদের দৌরাত্ম্য । হজ ও ওমরাহ করতে গিয়ে অনেকে কাবা শরিফ পেছনে রেখে ফোনে নিজেই তুলছেন ছবি। আর এর মধ্যে যদি কোন পরিচিত বিশিষ্ট ব্যক্তির (মওলানা/সমাজ সেবী) সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তাহলে তো কেল্লাপথে। আর এখানেই শেষ নয়,  ফেসবুকের মতো অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে এমন ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেখলে মনে হয় হয়ত ক্বিয়ামতের ময়দানে নিজের হজ্জ্ব পালনের প্রমাণ স্বরূপ আল্লাহর আদালতে এই ছবিগুলোর এটষ্টেড কপি জমা দেওয়া হবে। আর সঙ্গে যদি কোন বড় মওলানার ছবি থেকে যায় তাহলে হয়ত এটেষ্টেশনেরও প্রয়োজন হবে না! 
                              সৌভাগ্যবান আল্লাহর মেহমানদেরকে মনে রাখতে হবে যে হজ্জ্ব মানুষ দেখানোর উৎসব নয় বরং নির্বিঘ্নে আনুগত্যের প্রশিক্ষণ । কেননা রাসূল্লাহ (স.) হজ্জ্বে গিয়ে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি এমন একটি হজ পালন করতে চাই, যা কোন দম্ভ প্রকাশ বা লোক দেখানো হবে না।’ তাই এ ধরনের সেলফি তোলা ও সম্প্রচার করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মনোবাসনা পরিপন্থী ।
লেখক : মুহা: ফয়ছল আহমদ, রাতাবাড়ী
মোবাইল আজ আর শুধু কথা বলার যন্ত্র নয়। মোবাইল রীতিমতো এক সম্প্রচার মাধ্যম। এই মোবাইলই মানুষের ধ্যান-জ্ঞান ও মগ্নতাকে পদে পদে নষ্ট করছে। আর সেলফি তো আজ মনোযোগ, ধ্যান ও ফিকির বিরোধী এক বৈশ্বিক আগ্রাসন । কিন্তু এ  ঘাতক প্রভাব যখন হজ্জ্ব ও উমরাহে গিয়ে বিশ্ব মুসলিমদের প্রানকেন্দ্র পবিত্র মসজিদে হারাম, মসজিদে নববী বা নবীজির রওজায়ে আত্হারের সামনে দেখা যায় তখন মনের মধ্যে এক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। আফসোস হয় এই সব ভাগ্যবানদের প্রতি যাদেরকে আল্লাহ তা'লা মসজিদে হারাম, নববী ও গুম্বুজে খাজরা স্বচক্ষে দেখার সুযোগ দিয়েছেন তারা আজ এই পবিত্র ভূমিতে আল্লাহ রহমতের প্রত্যাশী না হয়ে সেলফিতে পাওয়া বেহুদা লাইক কমেন্ট ও শেয়ার প্রত্যাশী হল? ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ছবিগুলোর প্রতি লক্ষ্য করলে অনুমান করা যায় যে,  অন্যের নামাজে/এবাদতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন দূরের কথা, তার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শনের এর চেয়ে বড় নজির আর কী হতে পারে? জান্নাতুল বাকী, রসুল (সা.)-এর বিবি, কন্যাসহ অসংখ্য সাহাবায়ে কেরামের কবরস্থান যেখানে গিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মনটা সর্বোচ্চ নরম হয়ে যায়, সেখানেও চলেছে একই তৎপরতা। 
                                হজের মৌসুমে 'লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক' ধ্বনিতে মুখরিত থাকে পুণ্যভূমি মক্কা। কিন্তু হজের মতো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যেও কমেনি সেলফি জ্বরে আক্রান্তদের দৌরাত্ম্য । হজ ও ওমরাহ করতে গিয়ে অনেকে কাবা শরিফ পেছনে রেখে ফোনে নিজেই তুলছেন ছবি। আর এর মধ্যে যদি কোন পরিচিত বিশিষ্ট ব্যক্তির (মওলানা/সমাজ সেবী) সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তাহলে তো কেল্লাপথে। আর এখানেই শেষ নয়,  ফেসবুকের মতো অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে এমন ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, দেখলে মনে হয় হয়ত ক্বিয়ামতের ময়দানে নিজের হজ্জ্ব পালনের প্রমাণ স্বরূপ আল্লাহর আদালতে এই ছবিগুলোর এটষ্টেড কপি জমা দেওয়া হবে। আর সঙ্গে যদি কোন বড় মওলানার ছবি থেকে যায় তাহলে হয়ত এটেষ্টেশনেরও প্রয়োজন হবে না! 
                              সৌভাগ্যবান আল্লাহর মেহমানদেরকে মনে রাখতে হবে যে হজ্জ্ব মানুষ দেখানোর উৎসব নয় বরং নির্বিঘ্নে আনুগত্যের প্রশিক্ষণ । কেননা রাসূল্লাহ (স.) হজ্জ্বে গিয়ে বলেছিলেন, ‘হে আল্লাহ! আমি এমন একটি হজ পালন করতে চাই, যা কোন দম্ভ প্রকাশ বা লোক দেখানো হবে না।’ তাই এ ধরনের সেলফি তোলা ও সম্প্রচার করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মনোবাসনা পরিপন্থী ।
লেখক : মুহা: ফয়ছল আহমদ, রাতাবাড়ী

No comments: