বিশ্বায়নের পথে : ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে হাজির হচ্ছে কাজির বাজার সিনিয়র মাদ্রাসা - Barak Bangla News

Breaking

Jul 31, 2017

বিশ্বায়নের পথে : ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে হাজির হচ্ছে কাজির বাজার সিনিয়র মাদ্রাসা

বরাক বাংলা প্রতিনিধি, রাতাবাড়ি: অন্তর্জালিকার এই স্বর্ণযুগে হাতের মুঠোয় সমস্ত পৃথিবী । সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের আর দশটি উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মত প্রত্যন্ত রাতাবাড়ীর ঐতিহ্যবাহী ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাজির বাজার সিনিয়র মাদ্রাসাও জনগনের হাতে তুলে দিতে চলেছে তাদের স্বতন্ত্র ওয়েবসাইট । বর্তমানে এ যুগে স্বল্প খরচে তথ্য প্রকাশ করার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম ওয়েবসাইট । আর হয়ত এ কারণেই বৈশ্বিক এই সুবিধা হাত ছাড়া করতে চাইছেন না মাদ্রাসা কতৃপক্ষ । এবার থেকে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাদ্রাসা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য মাদ্রাসার শত শত প্রাক্তনী সহ গুণমুগ্ধদের হাতে তুলে দিবে কাজির বাজার সিনিয়র মাদ্রাসা। বিশ্বস্ত সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী www.kazirbazarsrmadrassa.in নামক ওয়েব লিংকে ক্লিক করলেই পাওয়া যাবে মাদ্রাসার ইতিহাস ।
১৯২২ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় একশ বছরের জীবন যাত্রায় এ জনপদের মানুষকে দেওয়া জ্ঞানের আলো সহ অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে মানুষের হৃদয়াঞ্চলে স্থান করে নেওয়ার এক বর্ণিল অধ্যায় । এছাড়াও এই ওয়েব ঠিকানার মাধ্যমে মাদ্রাসা পড়ুয়াদেরকে দেওয়া হবে অনেক যুগোপযোগী সুবিধা । এদিকে কাজির বাজার সিনিয়র মাদ্রাসা বৃটিশ-ভারতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া দক্ষিণ আসামের প্রথম দু তিনটি মাদ্রাসার মধ্যে অন্যতম । আর মাত্র পাঁচটা বছর অপেক্ষা করলেই প্রতিষ্ঠানটি উদযাপন করবে তাদের শতবর্ষের অনুষ্ঠান । সুতরাং এই মুহূর্তে মাদ্রাসা কতৃপক্ষের এ উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে । কেননা আসামের সরকারী কোন মাদ্রাসায় প্রথম বারের মত ওয়েবসাইট উন্মোচনের এই পদক্ষেপ পথ দেখাবে আরও সহস্র মাদ্রাসা কতৃপক্ষকে। ফুটে উঠবে আমাদের সভ্য সমাজ ব্যবস্থায় মাদ্রাসাগুলোর সোনালী ইতিহাস, উলামায় কেরামের রক্ত ঝরা অবদান, সাধারণ মুসলমানদের হৃদয়স্পর্শী সহযোগিতার বিবরণ। আর এতে প্রভাবিত হবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম । উল্লেখ্য রাতাবাড়ীর কোন প্রতিষ্ঠান কতৃপক্ষের এ ঐতিহাসিক পদক্ষেপে (সরকারী বিশেষ সহযোগিতায়) বেজায় খুশি এলাকার যুব সমাজ । এ পর্যন্ত ওয়েবসাইটটি নির্মাণ সম্পর্কিত প্রয়োজনে বাস্তুকারের হাতে পার্ক থাকলেও উদ্বোধনী সভায় উপস্থিত হয়ে ইতিহাসের অংশ হওয়ার আশায় এ অঞ্চলের তরুণ নেটীজেনরা। তবে মাদ্রাসা কতৃপক্ষ আশা পূরণের সুযোগ দিবে কি না এ বিষয়ে কোন তথ্য জোগাড় করা যায় নি।

No comments: