গুয়াহাটি : কামরূপ জেলার চন্দ্ৰপুরে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় বেঘোরে মারা গেছে দু-দুটি বুনো হাতি। ঘটনা সংঘটিত হয়েছে চন্দ্ৰপুরের ঠাকুরকুচি রেল স্টেশনের কাছে শনিবার রাতে। আজ সকালে ঠাকুরকুচি এলাকার মানুষজন রেল লাইনের পাশে ধানখেতে দুটি হাতিকে মৃত অবস্থায় দেখেন। দুটি বুনো হাতিকে দেখতে এলাকার মানুষ ছুটে এসে ভিড় জমান। খবর যায় বন দফতরে। বিভাগীয় কর্তারা এসেছেন। এলাকায় এখনও বুনো হাতির বিশাল এক দলের অবস্থান রয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, প্রতি রাতেই খাদ্যের সন্ধানে পার্শ্ববর্তী আমসাং জঙ্গল থেকে দলে দলে হাতি নেমে আসে জনবসতি এলাকায়। গতকাল রাতেও তারা এসেছিল। তারা রেল লাইন পার হয়ে ওপারে যাতায়াত করে। এভাবেই গত রাতে রেলের লাইন পার হতে গিয়ে দ্রুতগামী ট্রেনের ধাক্কায় দুই হাতির প্রাণ গেছে।
এদিকে বনবিভাগের আধিকারিক কর্মচারীরা এসে ঘটনার যাচাই শুরু করেছেন। ঘটনাস্থলেই তাদের পোস্টমর্টেম করা হয়েছে। এখন তাদের কবরস্থ করার তোড়জোড় শুরু করেছেন বনকর্মীরা। দুৰ্ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর আজ সকাল পর্যন্ত হাতির একটি বিশাল দল দুই মৃতের কাছে ঘোরাঘুরি করছিল বলে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।
এলাকার বাসিন্দারা ফুল-মালা-বেল পাতা দিয়ে মৃত দুই হাতির পুজো করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার রেল লাইনে বিভিন্ন সময় বহু হাতি এভাবে মারা গেছে। তাদের যাতায়াত স্থলকে এলিফেন্ট করিডোর হিসেবে বিশে্ষ পদক্ষেপ গ্রহণের কথা রাজ্যের বনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। কিন্তু সে কাজ এখনও হয়ে না ওঠায় বনজ সম্পদ হাতিদের এভাবে মরতে হচ্ছে। এলিফেন্ট করিডোর হিসেবে চিহ্নিত হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট রুটে ট্রেনের গতিবেগও কমানো হয় না। তাই এ ধরনের বিপত্তি ঘটছে।
No comments:
Post a Comment