পাথারকান্দি: পাথারকান্দির প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক মধুসূধন তেওয়ারির জীবনাবসান ঘটেছে। বুধবার রাত প্রায় পৌনে দুটো নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৮৯ বছর বয়সে তাঁর পরলোকপ্রাপ্তি ঘটেছে। পাথারকান্দির প্রথম বিজেপি বিধায়ক তেওয়ারির মৃত্যুসংবাদ বৃহস্পতিবার ছড়িয়ে পড়লে গোটা এলাকার পাশাপাশি জেলা ও রাজ্যের দলীয় মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
প্রয়াত মধুসূদনবাবু বহুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন। আজ তাঁর মৃত্যুর খবর চাউর হলে দল-মত নির্বিশেষে কাতারে কাতারে মানুষ তাঁর কলকলিঘাটের বাড়িতে ভিড় করে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রয়াতের শোকাহত পরিবারবর্গকে সমবেদনা জানান।
মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন তিন পুত্র, এক কন্যা-সহ অসংখ্য গুনমুগ্ধদের। বৃহস্পতিবার প্রাক্তন বিধায়কের মৃত্যুর শোকসংবাদ পেয়ে তাঁর কলকলিঘাট গ্রামের বাড়িতে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন পাথারকান্দির বর্তমান বিধায়ক বিজেপি-র কৃষ্ণেন্দু পাল ওসি সুধন্য শুক্লবৈদ্য,সার্কল অফিসার এল খংতে, বিজেপি-র ব্লক মণ্ডল সভাপতি যথাক্রমে হৃষিকেশ নন্দী, শান্তিলাল সিনহা, গুড্ডু তেওয়ারি, আমসা-র জেলা সভাপতি বদরুল হক-সহ বিশিষ্ট জনেরা।
তাঁরা প্রয়াতকে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, আমরা আমাদের এক অভিভাবককে হারালাম। এই শূন্যস্থান পূরণ হবে না। মিতভাষী মধুসূদনবাবুর আদর্শকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন বিশ্বহিন্দু পরিষদের করিমগঞ্জ জেলা কার্যনির্বাহী সভাপতি রবীন্দ্রকুমার দে।
প্রসঙ্গত, প্রয়াত মধুসূদন তেওয়ারি জীবনের প্রথমার্ধে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পরবর্তীতে বিশ্বহিন্দু পরিষদের পাথাকান্দি মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। পরিষদের মণ্ডল সভাপতি থাকাকালীন ১৯৯১ সালে তাঁকে বিজেপি টিকিট দেয় বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার করতে। তাঁকে তদানীন্তন জেলা বিশ্বহিন্দু পরিষদের সভাপতি ড. সুখেন্দুশেখর দত্তের সুপারিশে টিকিট দেয় দল। তিনি জয়ীও হন। বিধায়ক হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত। পরবর্তীতে এই পাথারকান্দি থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন সুখেন্দুশেখর দত্ত।
প্রয়াতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেক তাঁর শব নিয়ে এক শোকমিছিলও বের করা হয়েছে। শোক মিছিলে পা মিলিয়েছেন বিধায়ক-সহ উপস্থিত অসংখ্যজন। এলাকার বিভিন্ন রাজপথে শোকমিছিল করে গুনমুগ্ধদের উপস্থিতিতে বেলা একটা নাগাদ স্থানীয় শ্মশানঘাটে প্রয়াতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
No comments:
Post a Comment