দেশের প্রত্যেক নাগরিক যেমন ১২ সংখ্যার আধার নম্বর পেয়েছেন, তেমনই গোরুদের মধ্যেও আধারের মতই একটি নম্বর বিলি করা হবে। ২০১৫ সালে এ ব্যাপারে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে ৪ কোটি গবাদি পশুকে ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে ওই নম্বর দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, কৃষি মন্ত্রক এর জন্য আধার প্রযুক্তিই ব্যবহার করছে। গোরু সম্পর্কে ওই ট্যাগে যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য থাকবে, তার উচ্চতা, বংশ, লিঙ্গ, কোনওরকম শারীরিক চিহ্ন রয়েছে কিনা সব থাকবে তাতে। প্রতিটি কার্ডের দাম পড়বে ৮ থেকে ১০ টাকা।
গবাদি পশুর এই আধার ব্যবস্থার নাম পশু সঞ্জীবনী। গবাদি পশু ছাড়াও মাছের ক্ষেত্রেও নেওয়া হবে একই ব্যবস্থা। কেন্দ্র চাইছে ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ করতে। আর সেইজন্যই বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই সব তথ্য তখন জরুরি হবে। কারণ শুধু কৃষিকাজ থেকে এই লক্ষ্যে পৌঁছনো সম্ভব নয়, দেশের বেশিরভাগ কৃষকেরই জমির পরিমাণ অল্প।
এ বছরের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ফিশারিজ ও অ্যাকোয়াকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। শুধু গবাদি পশুর প্রজনন সংক্রান্ত কারণে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment