অসম নাগরিকপঞ্জি ইস্যুতে ফের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্যে তোপ দাগলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজধানীতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, শুধু বিজেপি দলের সমর্থক হলেই কি এদেশে থাকা যাবে?
ভোট রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের মধ্যেই আজ চল্লিশ লক্ষ মানুষ শরণার্থী। অসমের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে কেন্দ্র ও অসমের বিজেপি সরকারকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিশপ কনফারেন্স থেকে মুখ্যমন্ত্রী ফের আরও একবার অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে সরব হন ৷ ফের তাঁর গলায় শোনা যায় বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ৷
তিনি বলেন, ‘দেশজুড়ে দমনপীড়ন চলছে ৷ দমনপীড়ন চালাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট দল ৷ অসমে কী হচ্ছে? কেন্দ্র কী করছে ? হঠাৎ বলা হচ্ছে দেশ ছেড়ে চলে যাও ৷ বছরের পর বছর ধরে যাঁরা ভারতে আছেন ৷ তাড়িয়ে দিলে তাঁরা কোথায় যাবেন?’
দিল্লিতে গিয়ে ফের মোদি সরকারকে উৎখাতের ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশপ কনফারেন্সের মঞ্চ থেকে নিশানা করলেন গেরুয়া শিবিরকে। বিভেদের রাজনীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে বললেন, এ ভাবে চললে দেশে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাবে।
এমনকি বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জাতিভিত্তিক বাছবিচারেরও অভিযোগের সুর শোনা গেল তৃণমূলনেত্রীর গলায় ৷ মমতা জানান, অসমে নাগরিকপঞ্জির তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ফখরুদ্দিন আলি আহমেদের নাম ৷ ‘আমি খ্রিস্টান বলে আলাদা করবে? আমি মুসলিম বলে আলাদা করবে? সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে ৷ কে বাংলায় থাকবে? কে অসমে থাকবে? সেটা ঠিক করবে একটা দল? আমি এটা সহ্য করব না ৷’ অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷
অসমেই শেষ নয় ৷ তৃণমূলনেত্রীর আশঙ্কা, নাগরিকপঞ্জির নামে দেশবাসীদের নিজের ভূমি থেকে বিতারিত করার কাজ এরপর হয়ত উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, বাংলা সহ ভারতের বাকি রাজ্যেও করবে মোদি সরকার ৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মাতৃভূমির বিভাজন চাই না ৷ বিভাজনের রাজনীতি মেনে নেব না ৷ অনেক জায়গাতেই সুরাহা মিলবে ৷ বাংলা তেমনই একটি জায়গা ৷ কী খাব, কী পরব সেটাও বলে দেবে ৷ এটা কখনই মেনে নেব না ৷’
No comments:
Post a Comment