গুয়াহাটি: ‘ইতিহাস সৃষ্টি ক্ষণে নাগাল্যান্ড। খুব শীঘ্রই এই রাজ্য রচনা করবে এক নয়া ইতিহাস। সকলের সহযোগিতায় দীৰ্ঘস্থায়ী শান্তির সময় এসেছে।’ গতকাল নাগাল্যান্ডের পরম্পরাগত উৎসব হর্নবিল ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধন করে আপ্লুত রাষ্ট্রপতি আজ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই মন্তব্য করেছেন। ট্যুইটে তিনি আরও বলেছেন, ‘এখন পৰ্যন্ত রাজ্যের শান্তি কামনায় যে সকল নাগা সংগঠন এগিয়ে এসেছে তাদের সককলকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি নিশ্চিত, সকলের কল্যাণজনক চূড়ান্ত চুক্তি খুব শীঘ্ৰই সম্পন্ন হবে।’
রাষ্ট্রপতির এই ট্যুইটবার্তা ছড়িয়ে পড়তেই অসমের বিভিন্ন মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সবার আগে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কংগ্রেস। তড়িঘড়ি এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদ্ষোত বরদলৈ প্রস্তাবিত বৃহত্তর নাগালিম চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। প্রদ্যোত বরদলৈ বলেছেন, রাষ্ট্ৰপতির ট্যুইটে তাঁদের উদ্বিগ্ন করেছে। নাগা চুক্তির ফলে অসমের ভৌগোলিক অখণ্ডতার প্রতি এক হুমকি আসবে। আজ অসম দিবস। মহান এই দিবসে এমন হুমকি-বার্তা অসমের জন্য কালোদিনের আভাস দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত আসম দিবসহল আহোম সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা চুকাফার স্মৃতিকল্পে অসমে পালিত উৎসব। ১২২৮ সালের ২ ডিসেম্বর পাটকাই পর্বত অতিক্রম করে অসমে প্রবেশ করে আহোম সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্গদেউ সাওলুং চুকাফা। তাই এই দিনকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে অসমে অসম দিবস পালিত হয়।
অন্যদিকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লির প্ৰভুরা বৃহত্তর নাগালিম সম্পর্কে তাঁদের স্থিতি স্পষ্ট করুন। নাগাদের প্রশ্ন করার সাহস দেখান। কেবল চুকাফা পুরস্কার দিলেই হবে না। গগৈও বলেছেন, রাষ্ট্রপতির টুইটে খুব সুখে নেই তিনিও
এদিকে, বৃহত্তর নাগা ফ্ৰেমওয়াৰ্ক চুক্তি সম্পর্কে প্ৰধানমন্ত্ৰীর কাছে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছে মণিপুরের কয়েকটি সংগঠন। চুক্তিটি প্রকাশ করার পাশাপাশি মণিপুরের অখণ্ডতা অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। একতা ও সম্প্ৰীতি বজায় রেখে পুরনো মণিপুরের স্বকীয় ঐতিহ্য বজায় রাখারও আবেদন জানানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment