শিলচর: জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নবায়নের চূড়ান্ত পর্বের কাজ জোরকদমে চলছে বরাক উপত্যকায়। একটি নির্ভুল নাগরিকপঞ্জি-সহ যাঁদের নথিপত্রে গরমিল রয়েছে তা পুনরায় চাক্ষুসিক নিরীক্ষণের জন্য কয়েক হাজার সরকারি কর্মী এনআরসি সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছেন।
১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় \”ডোর টু ডোর\” অভিযান। রাজ্যে শান্তি-সম্প্রতি অক্ষুণ্ণ রাখতে পুলিশ প্রশাসনও অগ্রিম প্রস্তুতির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। বিপত্তি যাতে না বাধে স্বচ্ছ নাগরিকপঞ্জি তৈরিতে। এজন্য রাজ্যবাসীকে এনআরসি-র কাজে সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছে সরকার।
বরাকের বিভিন্ন শহরতলিতে এ নিয়ে বিস্তর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ওই সব গুজবে গ্রামগঞ্জের সহজ-সরল মানুষের মনে ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। ঘরে এসে আসল নথিপত্র নিয়ে বহিরাগত বলে তালিকাভুক্ত করার আশঙ্কাজনিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে বিস্তর। রাজ্যে অবৈধ বসবাসকারীদের শনাক্তকরণ, আমসাং-এর মতো হাতি নিয়ে বিশাল নিরাপত্তাবাহিনী এসে জোরজবরদস্তি গুঁড়িয়ে দেবে বাড়ি-ঘর। এমন গুজবে দিশেহারা মানুষ।
অনেকেই আতঙ্কে হাঁপাচ্ছেন। অনেকের উবে গেছে রাতের ঘুম। তবে শহরাঞ্চলে এ সব গুজব তেমন একটা প্রভাব ফেলছে না। জেলায় আচমকা পুলিশের কড়া প্রহরা পরিলক্ষিত হওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে কিছুটা দাগ কাটছে। তবে তেমন কোনও হেলদোল নেই শহরাঞ্চলে।
প্রসঙ্গত, এনআরসি অনলাইন লিগ্যাসি ডাটা-সহ প্রয়োজনীয় নথিপত্রের সঙ্গে আবেদন প্রক্রিয়ার পর শম্ভুকগতিতে চলছিল নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা তৈরির কাজ। এ জন্য অসন্তোষও ছিল জনগণের।
বরাকের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মহলের মতে, আইনি প্রক্রিয়ায় যথাশীঘ্র সরকার নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করলে জনগণের সন্দেহজনক বিদেশি বলে অযথা হয়রানি বন্ধ হবে। যাতে সন্দেহের বশে অযথা হয়রানি না হয় এটাই দীর্ঘদিনের দাবি স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ও জনতার।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment