কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ ঘটেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে পরিবর্তনের ধ্বজাধারীদের ব্যাটন উঠে এল বিজেপির হাতে। মাত্র আটমাসেই শুধু ভাঙনের রাজনীতিতেই নিজেদের ভিত শক্ত করে ত্রিপুরার লাল দুর্গে গেরুয়া ঝড় বইয়ে দিল বিজেপি।
আর তৃণমূল পড়ে রইল একেবারে তলানিতে। তৃণমূলই এখানে ভাঙনের রাজনীতি শুরু করেছিল। কিন্তু তারা কংগ্রেসকে ভেঙেও ধরে রাখতে পারল না নিজেদের ভিত। ত্রিপুরা নির্বাচনই তার প্রমাণ। মাত্র ০.৩ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল। ১৬ আসনে তৃণমূলের মোট ভোট ৬,৯৮৯। নিজেরা কোনও লাভই করতে পারল না। উপরন্তু কংগ্রেসকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করে দিল।
মুকুল রায়ের দল ছাড়ার ফলে প্রকারান্তরে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এখনও সে অর্থে কোনও লাভ করতে পারেনি। কিন্তু আদতে একটা প্রতিবেশী রাজ্যে পুরো তৃণমূলটাই মুকুলের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিতে মার্চ করে গেল। আর তা থেকেই পুরো রাজ্যের শাসনভার এখন বিজেপির হাতের মুঠোয় চলে এল।
আর নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার এই কাহিনিতে সবথেকে করুণ দশা হল তৃণমূলের। একটি আসনের বিচারে সবথেকে বেশি ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন জোলাইবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন ত্রিপুরা। আর সবথেকে কম ভোট পেয়েছেন বনমালীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কুহেলি দাস সিনহা। মোট কথা তাঁদের সব প্রার্থীই ১১৬ থেকে ৪৩৫-এর মধ্যে ভোট পেয়েছেন। এটা যে কোনও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কাছেই বেদনাদায়ক। যেমনটা হল তৃণমূলের ক্ষেত্রে ত্রিপুরায়।
No comments:
Post a Comment