এ কি হাল তৃণমূলের! ১৬ আসনে মাত্র ৬৯৮৯, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ - Barak Bangla News

Breaking

Mar 4, 2018

এ কি হাল তৃণমূলের! ১৬ আসনে মাত্র ৬৯৮৯, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ

শোচনীয় হাল হল পরিবর্তনের ধ্বজাধারী তৃণমূলের! ৬০টি আসনের মাত্র ১৬টিতে প্রার্থী দিয়েও জামানত ধরে রাখতে পারলেন না দলীয় কোনও প্রার্থী। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে পঞ্চায়েতের থেকেও কম ভোট পেলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা! ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে পরিবর্তনের আওয়াজ তুলেছিলেন যাঁরা, তাঁরাই একেবারে ব্রাত্য হয়ে গেলেন ত্রিপুরায়। আর তাঁদের জায়গায় কোথা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসল বিজেপি এবং লাল দুর্গকে পাল্টে দিল গেরুয়ায়।
কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ ঘটেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে পরিবর্তনের ধ্বজাধারীদের ব্যাটন উঠে এল বিজেপির হাতে। মাত্র আটমাসেই শুধু ভাঙনের রাজনীতিতেই নিজেদের ভিত শক্ত করে ত্রিপুরার লাল দুর্গে গেরুয়া ঝড় বইয়ে দিল বিজেপি।
আর তৃণমূল পড়ে রইল একেবারে তলানিতে। তৃণমূলই এখানে ভাঙনের রাজনীতি শুরু করেছিল। কিন্তু তারা কংগ্রেসকে ভেঙেও ধরে রাখতে পারল না নিজেদের ভিত। ত্রিপুরা নির্বাচনই তার প্রমাণ। মাত্র ০.৩ শতাংশ ভোট পেল তৃণমূল। ১৬ আসনে তৃণমূলের মোট ভোট ৬,৯৮৯। নিজেরা কোনও লাভই করতে পারল না। উপরন্তু কংগ্রেসকে অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করে দিল।
মুকুল রায়ের দল ছাড়ার ফলে প্রকারান্তরে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে এখনও সে অর্থে কোনও লাভ করতে পারেনি। কিন্তু আদতে একটা প্রতিবেশী রাজ্যে পুরো তৃণমূলটাই মুকুলের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপিতে মার্চ করে গেল। আর তা থেকেই পুরো রাজ্যের শাসনভার এখন বিজেপির হাতের মুঠোয় চলে এল।
আর নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার এই কাহিনিতে সবথেকে করুণ দশা হল তৃণমূলের। একটি আসনের বিচারে সবথেকে বেশি ৪৩৫ ভোট পেয়েছেন জোলাইবাড়ি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন ত্রিপুরা। আর সবথেকে কম ভোট পেয়েছেন বনমালীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কুহেলি দাস সিনহা। মোট কথা তাঁদের সব প্রার্থীই ১১৬ থেকে ৪৩৫-এর মধ্যে ভোট পেয়েছেন। এটা যে কোনও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের কাছেই বেদনাদায়ক। যেমনটা হল তৃণমূলের ক্ষেত্রে ত্রিপুরায়।

No comments: