হিমন্তের অভব্যতা - Barak Bangla News

Breaking

Mar 4, 2018

হিমন্তের অভব্যতা

,আগরতলা: ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর মানিক সরকারকে বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে! ভোটের প্রচারে গিয়ে মানিক সরকারের নির্বাচনী কেন্দ্র ধনপুরে দঁাড়িয়ে এই অভব্য মন্তব্য করেছিলেন অসমের বিজেপি সরকারের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক চাপান-উতোর চলেছিল। ভোটে বামফ্রন্টের হারের পর হিমন্তের গলা আরও চড়ল। বললেন, তিন জায়গায় 'আশ্রয়' নিতে পারেন মানিক সরকার। পশ্চিমবঙ্গে চলে যেতে পারেন। সেখানে এখনও বামপন্থীরা টিকে আছে। কেরলে চলে যেতে পারেন। সেখানে বামেরা এখন ক্ষমতায় এবং আরও বছর তিনেক হয়ত থেকে যাবে। অথবা চলে যেতে পারেন প্রতিবেশী বাংলাদেশে! 

৬৯ বছরের মানিক সরকার চতুর্থবারের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। বামেরা ত্রিপুরায় ক্ষমতায় সেই ১৯৯৮ সাল থেকে। এবং ব্যক্তি মানিক সরকারের ভাবমূর্তিও জনমানসে অত্যন্ত উজ্জ্বল। তঁার প্রতি প্রাপ্য সৌজন্যটুকুও দেখাতে নারাজ হিমন্ত, যিনি নিজে আয়ারাম-গয়ারামের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। মানিক সরকারের থেকে বয়সে ঠিক ২০ বছরের ছোট হিমন্ত ২০০১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত টানা কংগ্রেসের টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছেন, কিন্তু ২০১৬ থেকে আচমকা দল বদলে হয়ে গেছেন বিজেপি। এদিনও তিনি সাংবাদিকদের সামনে রসিকতার ছলে পুরনো দলের নবীন সভাপতিকে হেয় করলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা করতে গিয়ে বললেন, শাহ যদি রাজনীতিতে স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র হন, রাহুল তা হলে এখনও নার্সারিতে পড়ে! অবশ্য রাহুল গান্ধীর ওপর হিমন্তের অনেক পুরনো রাগ। এর আগেও বহুবার বলেছেন, রাহুল সিরিয়াস রাজনীতিক নন। অসমের নেতারা যখন রাজ্যের গুরুতর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে উদগ্রীব, রাহুল 'তঁার কুকুরদের খাওয়াতে ব্যস্ত' থেকেছেন। অসমের কংগ্রেস সরকারেরও মন্ত্রী ছিলেন হিমন্ত। এখন বিজেপি সরকারের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

No comments: