ভোটগণনার ট্রেন্ড যা ইঙ্গিত দিচ্ছে তাতে, কংগ্রেস গতবারের থেকে ভাল ফল করতে চলেছে। পতিদার ও প্যাটেল প্রভাবিত সৌরাষ্ট্রে কংগ্রেস ভাল ফল করবে বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে ভোটগণনার ট্রেন্ড। কংগ্রেস হারলেও কেশুভাইয়ের পর পতিদার সম্প্রদায়ের জন্য শক্তিশালী নেতা হিসেবে হার্দিক প্যাটেলের পায়ের জমি আরও শক্ত হল ৷ গ্রামীণ গুজরাতেও কংগ্রেসের ফল ভাল হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। একমাত্র মধ্য ও দক্ষিণ গুজরাতেই বিজেপি বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে।
কচ্ছ-সৌরাষ্ট্রে মোট আসন ৫৪ ৷ এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১টিতে জয়ী বিজেপি, ২১টিতে এগিয়ে ৷ অন্যদিকে, কংগ্রেস এগিয়ে ৩১টি আসনে ৷ উত্তর গুজরাতে ৩২টির মধ্যে বিজেপি ১৬টিতে এগিয়ে ৷ উত্তর গুজরাতে ১৫টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস ৷
মধ্য গুজরাতে মোট আসন ৬১ ৷ এর মধ্যে বিজেপি ৬টিতে জয়ী, ৩৪টি আসনে এগিয়ে গেরুয়া শিবির ৷ কংগ্রেস ২টিতে জয়ী, ১৮টিতে এগিয়ে ৷
দক্ষিণ গুজরাতে মোট আসন ৩৫টি ৷ বিজেপি ৩টিতে জয়ী, ২৪টিতে এগিয়ে ৷ দঃ গুজরাতে ৮টি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস ৷
দীর্ঘ বাইশ বছর ধরে গুজরাতের ক্ষমতায় বিজেপি। কিন্তু, এবার তা কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ভাইব্র্যান্ট গুজরাতের ঢক্কানিনাদের আড়ালে চাপা পড়ে থাকা গ্রামীণ গুজরাতের উন্নয়নই ভোটের ইস্যু হয়ে দাঁড়ায়। সেইসঙ্গে জোরদার হয় পতিদার ও প্যাটেলদের সংরক্ষণের আন্দোলনও। সব ফ্যাক্টরকে একসূত্রে গেঁথে বিজেপি বিরোধিতায় নামেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি। পরিস্থিতি আঁচ করে গড় রক্ষা করতে নিজেই নামেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
No comments:
Post a Comment